কুকীর্তির ভিডিও ফাঁস : ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত‍্যার চেষ্টা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের

30th June 2020 4:55 pm বর্ধমান
কুকীর্তির ভিডিও ফাঁস : ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত‍্যার চেষ্টা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কাটোয়া ) : পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনন‍্য ধর মধুচক্রে জড়িত । এমনকি হাসপাতালের মধ‍্যেই এই কান্ড ঘটান তিনি বলে অভিযোগ । মহিলাদের চাকরী দেবার নাম করে বহুজনের সাথেই কুকীর্তি করেছেন বলে অভিযোগ ছিল ই । এমনকী বছর ৭ আগে প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে শংসাপত্র প্রদানের নামে শ্লীলতাহানি করেন । তখন মোটা টাকার বিনিময়ে তা মীমাংসা হয়ে যায় বলে জানা গেছে । কিন্তু গতকাল রাতে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিও ঘিরে তোলপাড় গোটা কাটোয়া মহকুমা । ভিডিও প্রকাশ‍্যে আসার পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত‍্যার চেষ্টা করলেন ডেপুটি সুপার ।

বর্তমানে তিনি কাটোয়া হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন বলে প্রকাশ । গতকাল রাতে এক যুবতী তার ফেসবুক ওয়াল সহ ৫০ জনকে ট‍্যাগ করে ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি আপলোড করেন । তাতে দেখা যাচ্ছে , একজন মহিলা যার গায়ে লাল রঙের চাদর রয়েছে । আর একজন পুরুষ রয়েছে যার গায়ে হাফহাতা সোয়েটার রয়েছে । ভিডিও টি ঠিক কবেকার তা অবশ‍্য জানা যায় নি । আপলোড করার পাশাপাশি ওই যুবতী লিখেছেন  " মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দেখুন আপনার কাটোয়া মহকুমা  হাসপাতালের  ASSISTANT SUPER  অনন্য ধর মহিলাদের কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে হাসপাতালের মধ্যে মধুচক্র  বা শারীরিক শোষন করছেন। বন্ধুরা এটা খুব শেয়ার করুন। যাতে কুকুরটার চাকরি না থাকে।আমাদের বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার লজ্জা।আশা করি মাননীয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী আপনি এই কুকুরটার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন। " এই ভিডিও ঘিরেই সকাল থেকে সরগরম কাটোয়ার প্রশাসনিক মহল । ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত‍্যার চেষ্টার ঘটনা তিনি নিজেই সত‍্যতা স্বীকার করে নিলেন বলে বলছেন স্থানীয় রা । অনেক মহিলা স্বাস্থ‍্য কর্মী তার লালসার শিকার হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।